আকিব শিকদার-এর কবিতাগুচ্ছ
নিষ্ফলতা
নিষ্ফলতা কাক য বল শুনুন, নবজাতকর
হাতর দিক তাকিয় দখি মুষ্টিবদ্ধ শূন্য হাত
মতর হাতও শূন্য, মুষ্টিবদ্ধ। মাঝ কিছুকাল
এ হাতটাকই পূর্ণ করত মানুষ কুপাকাত।
বৃথা চষ্টা
বাগানর ফুল প্রজাপতি, ধরত গলই উড় যায়।
চুপটি কর থাকা যদি
প্রজাপতিই বসব এস তামার গায়।
সুখর পিছু ছুট ছুট
ওর মন... পারলি না তা ধরত তাক!
সবুর কর দখ্, সুখই এস খুঁজব তাক।
তুমি যা চাও হয়তা কভু ঘটব না তা
কি দখা, যা ঘট তা ঠকিয় রাখার চষ্টা বথা।
মুখ ও মুখাশ
অজ্ঞাত-অবচতন করি যসব পাগলামি
সটাই আসল আমি।
বিনা বিবচনায় মানুষ যা কর, তা তার প্রকত রপ।
অতি নিখুঁত ভাবছি যা কর মানুষ
সেটা তার মুখোশ।
মুখর উপর লাগানা কত্রিম ধাঁয়াশা ধুপ।
বিপ্রতীপ
খাঁচার পাখি সুখ খুঁজত পালিয় গলা বন
মুক্ত বন খাঁচার কথাই পড়ছ কনা মন!!
ঘরর বধূ ঘর ভঙছ শান্তি খুঁজত শান্তি
শাÍি তা নই, স্বামীর স্মতি বাড়িয় দিলা ক্লান্তি।
হারিয় গলই বুঝত পারি যা ছিলা তাই ভালা
যা ছিলা না খুঁজত তাক গিয়ই তা হারালা।
মানুষই মানুষক পার বদলাত
একটু আঘাত যদি পাই, জ্বল উঠবা আক্রাশ
বারুদ বারুদ ঘষা খল যমন জ্বল ওঠ
একটু আদর যদি দাও, গল যাবা ভালাবস
প্রজাপতির পাখার বাতাস যমন ফুল ফাট।
আঘাত নাকি আদর, বলা, কানটা আমায় দব...?
মানুষই মানুষক পার বদলাত দখছি ভব।
ভালামানুষি
লাল চশমায় দুনিয়াটা লাল,
কালা চশমায় কালা
চারর চাখ সকলই চার,
সাধু ভাব সব ভালা।
মানুষ মানুষ দ্বদ্ব-
হবই হব বন্ধ-
সবাক তামার ভালা মন হব-
তুমি যদি হও ভালা।
সময় ফুরিয় গল
সময় ফুরিয় গল লাঠি ধর চট খাওয়ার কাঠি আইসক্রিম
গ্লাস ভর শরবতর মতা পিয় খত হয়।
বার্ধক্যর আগই করা যবনর যথাযথ ব্যবহার-
উথিত লাউয়র ডগা নতিয় পড়ল পস্তানার আসব সময়।
গরম গলিত লাহাক হাতর হালকা ইশারায়
তৈরি করা যায় দা-বটি, ক্ষুর-কুড়াল-
ঠান্ডা হয় গল পিটিয়ও সম্ভব নয়।
সময় ফুরিয় গল পস্তানার আসব সময়।
চাষবাস
আমি যদি হই লাঙ্গল জায়াল
তুই হবি না চাষর মাটি!
তাক বিছিয়ই শুইব না হয়
তুই হয় যা শীতলপাটি।
এই ন আমার পশির আদর
উপর কর দিলাম ঘড়া
চাষার যদি তাগদ থাক
মাটি থাক না অনুর্বরা।
গুরু, একটু অলাক দাও...
তামার পদধনিত ঘুমভাঙানিয়া সুর, তামার চিন্তিত নিশ্বাস
যন দুঃখ-তাড়ানিয়া গান, তামার মশাল
জগতর যাবতীয় অন্ধকার দূরীভূত কর গছ চিরকাল।
আজ দুর্দান্তদুর্দিনর ধোয়াটে অন্ধ গুহায়
গুরু, একটু আলোক দাও... তোমার অনল
থক যন বঞ্চিত না হয় আমার মশাল।
ছায়াবাজি
আমার ছায়া ফল তামার গায়
ছায়া দিয়ই তামার শরীর দিয়ছিলাম ছুঁয়।
হঠাৎ তুমি তামার ছায়া আমার গায় ফল
ছায়াবাজির উষ্ণ জবাব দিল।
এক ছোয়াত গিয়ছিল মিশ-
তোমার আমার দুটি ছায়া পাশাপাশি এস।
দুইটি দহর মধুর মিলন না যদিও ঘট
ছায়ার মিলন ঘটছিল বট।
সন্যাসী
দষ্টিক সন্যাসী করি, তাকাই যখন কান রমণীর দিক
যাত হৃদয় অতল না মার উঁকি কামনার নিশি-অমা
নারীরা যাতনা দেয়, যদিও তারাই আবার মায়ার প্রতীক
আরক্তঅধর-উর্বশী য চায় স নিক, চাই না তিলাত্তমা
চয়ছি সহজ চাওয়া, অতিমাত্রায় সাদামাটা জন-এক
বুকভরা যার শুধুই মাংস নয় ভালবাসাও আছ জমা।
এই য খবর ভীষণ গাপন
একলা ঘরর বিছানাত
বালিশ আমার বউ
আমি জানি, বালিশ জান
আর জান না কউ।
এই য খবর ভীষণ গাপন
কাউক বলত মানা
জানল লাক লজ্জায় আমার
দু’চাখ হব কানা।
ঈর্ষামাতাল
খাঁচার ভতর পুষছি আমি দুটি ছাট পাখি
যখন তখন কিচির মিচির
ডানায় ডানায় ভাব মিলিয় করছ মাখামাখি।
বদি ওরা, অথচ কী প্রমর উথাল পাথাল
ঠাঁটর সাথ ঠাঁটের ঘষাঘষি
ওদর এতো প্রণয় দখ আমিই ঈর্ষামাতাল।
হাতর সাথ হাত মিলাবার নই তা কারাও হাত
ওমন ঠাঁটর কাথায় পাবো দখা
আমার চতুর্দিক কবল জ্যাৎসাবিহীন রাত।
ব্যর্থ বাধন
বাঁধিনি তা শক্ত বাঁধন, যদি অঙ্গত পর দাগ
তাই বাঁধন খুল পালালা স দাগ কট অÍর।
স দাগ এখন দগদগ কাচা ঘা
জানল এমন ব্যর্থ বাঁধন দিতাম না...
কি বুঝ বুঝাই, কি ছল মানাই - মন, মন তার।