যুগের ছড়া




 ❑

যুগের ছড়া

❑ শনিবার  ❑ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ইংরেজি  ❑ ০১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


আমার বাবা-ই সেরা

সাইদুল ইসলাম সাইদ 


মাঠে মাঠে রোদে পুড়ে 

গা হয়ে যায় কালো,  

তবু থাকে হাসিখুশি 

ছড়িয়ে দেয় আলো। 


হাজারটা যে প্রশ্ন করি

একটুও না রাগে,

জরিয়ে ধরে আদর করে

বাবা আমায় আগে।


কান্নার ছলে যদি বলি

আমি মজা খাব, 

চকলেট লিচু কত মজা 

সাথে সাথে পাব।


সিন্ডিকেট

এম. আবু বকর সিদ্দিক 


কোর্মা পোলাও চাইনা আমি

দুটো ডাল ভাত দে,

পণ‍্যের উপর সিন্ডিকেটের 

প্রভাব তুলে নে। 


ভিটা বাড়ি বন্ধক রেখে

দু'বেলা খাই ভাত,

দমে দমে মূল্য বাড়ছে 

সবার মাথায় হাত।


মান সম্মানের ডরে কেহ

খুলছে না রে মুখ,

ঘরে ঘরে কঠিন অভাব

নেই যে কারো সুখ।


অনেক কিছু পারিস তোরা

এটা পারিস নে?

সিন্ডিকেটের হাতের কব্জি

দে রে কেটে দে।




হেমন্ত এসে

ফেরদৌসী খানম রীনা


প্রকৃতির মাঝে  হেমন্ত এসে

ছড়ালো সুখের ভেলা, 

চারিদিকে অনাবিল সৌন্দর্য 

আর আনন্দ মেলা।


সবুজ পাতায় পাতায় নির্মল

প্রাণ জুড়ানো হাওয়া, 

পাখিদের গুণ গুন মিষ্টি সুরে

খুশিতে দোল খাওয়া। 


মেঘ আর বৃষ্টির পালা বদল 

ময়ূর নাচে বনে,

হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় 

সুখের পরশ মনে।


মাঠে পাকা ধানের মনোরম 

ঢেউ খেলানো হাসি,

মনোমুগ্ধকর শোভায় কৃষক

খুশি রাশি রাশি। 


নবান্ন উৎসবে মাতে পল্লীর

প্রতিটি পাড়া,

হেমন্তের আগমনে প্রকৃতিতে

পড়েছে সাড়া।


শিউলি, বকুল ফুটেছে গাছে

কি অপর্ব শোভা!! 

ঝিলে ফুটেছে শাপলা -শালুক 

যেন মনো-লোভা। 


বিলের জলে টেংরা -পুটির

আনমনে ছুটোছুটি,

রাঙা সূর্যটা দেখে কালো 

মেঘ গিয়েছে টুঁটি।


হলুদ পাখি 

জাহাঙ্গীর চৌধুরী 


হলুদ পাখি হলুদ পাখি 

আস আমার ঘর।

বৃষ্টি ভেজা গায়ে আমার 

উঠেছে আজ জ্বর। 


নানা আসবে মিষ্টি নিয়ে 

সাথে থাকবে ফল।

মিষ্টি দেখলে খেতে আমার 

জিহ্বায় আসে জল।


বললে তুমি মিষ্টি কথা 

পাব আমি সুখ। 

মিষ্টি খাব দুজন মিলে 

ঘুচবে সকল দুখ।


হলুদ পাখি আস এবার 

ভাঙ্গ আমার ডর।

মায়ের সাথে যেতে হবে 

ডাক্তার বাবুর ঘর।।



হে মহাকাল

জিৎ মন্ডল 


হে দশভুজা ত্রিলোক জননী

 সমগ্র বিশ্ব জুড়ে

তুমি বিরাজমান,

তোমার চরণে স্মরণ লয়ে

কাঁদিছে কত জন

কাঁদিছে দিনমান।


 হে করুণার আঁধার তব করুণায়

তরিছে কত শত প্রাণ 

কত অধম অপার,

ফুটিছে ফুল,ডাকিছে পাখি

সকলিতো তোমার 

বিশ্ব জুড়ে যা কিছু সুন্দর। 


কোসাইয়ের মতো যারা

কাটছে মানুষ

কটছে দিবা রাতে,

তাদের জন্য খড়গ কৃপাণ

নাওনা তুলে

নাওনা মা ঐ হাতে।



ভালোবাসা 

মাহবুব-এ-খোদা 


ভালোবাসা স্বাস্থ্যটনিক

হৃদয়ে সুখ আনে,

নাওয়াখাওয়া ভুলে গিয়ে 

দ্রুত কাছে টানে।

বিশ্বাসের বাঁধ নির্মাণ করে 

পরস্পরের সাথে, 

জীবনটাও বিলিয়ে দিতে 

একে অন্যে মাতে।

পাথরেও ফুল ফোটে যে

ভালোবাসার তোড়ে,

মরণের পর তাজমহল হয়

বলো কীসের জোড়ে?

ভালোবাসার পরশ পেয়ে 

মানুষের মন রাঙে,

তিলেতিলে গড়ে ওঠে 

অবিশ্বাসে ভাঙে।


আজান

সৈয়দুল ইসলাম


আজান হলো প্রার্থনার ডাক

বুঝতে হবে সবে,

এবাদত বন্দেগীর জন্য

এসেছি এই ভবে।

মসজিদের ঐ মিনার থেকে

আজানেরই সুর,

দিবা রাত্রি আসে কানে

লাগে সুমধুর। 

জামাত সহিত পড়তে নামাজ

ডাকে মুয়াজ্জিন, 

নামাজ ছাড়া জিবন সবার 

যেনো মূল্যহীন।

আজান শুনে কাজটা ফেলে

ছুটবো মসজিদ পানে,

ছুটবো সবাই দলে দলে 

নামাজেরই টানে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

তানকা/স্বপন শর্মা