জ্যামিতিক জীবন
জীবনের ভেক্টর জ্যামিতি চলে সামান্তরিক সূত্র মেনে
এক বাহুতে স্ত্রী তার অন্য বাহুতে সন্তান
প্রয়োজন টেনে নেয় কর্ণ রেখায়।
পিছনে অতীত টানে সামনে ভবিষ্যৎ
আমি স্থির দাঁড়িয়ে আছি ভারকেন্দ্রের উপর।
সংলাপ
আনজানা ডালিয়া
আঁকাবাঁকা পথ জানে আমি ভালোবাসি
চাঁদের হাসি বলে দেয় ভালোবাসি।
শব্দরা ভালোবেসে ঠিকানা পায়
কুয়াশা ভালোবেসে সুখোমন ভেজায়।
চুপিচুপি বলা সংলাপ সাজে কবিতায়
ছায়া হয়ে মন রঙিন পাখনায় কাছে দাড়ায়।
ভীষন রকম ভালোবাসলে,এমনি করে অভিমান ভুলে
সব আয়োজন ফেলে ছুটবে নিরেট আলোজলে।
নিকোটিন
শুভজ্যোতি মন্ডল মানিক
নিকোটিনে আসক্ত ব্যক্তি জানে নেশার উদ্রেক কতোটা তীব্রতা ছড়ায়,সব কিছুর বিনিময়ে চাই'ই চাই;যেমনটা আমার কাছে তুমি;
তুমি আমার নিকোটিনের নেশাই বটে!
নিকোটিনের নেশা প্রেষনায় তাড়না ছড়িয়ে ছুটে বেড়ায় বল্গাহীন ঘোড়ার মতো নেশার রাজ্যে হিতাহিত জ্ঞানশূন্যে,আমিও ছুটি ভালোবাসার তুমিময় নিকোটিনের সন্ধানে সকাল দুপুর রাত লাগাতার স্বপ্নময় ধর্মঘটে।
ধোঁয়ায় তুলিতে নেশাপ্রেমি জল রঙের শিল্প
সাঁজায় নিকোটিনের আসক্তিতে ডুবে ডুবে,
আমার আসক্তি তুমি;আমিও শিল্প সাজাই ছবি আঁকি চোখে;নির্জনে একলা কথা বলি মৌন স্বরে;
কল্পনায় প্রিয়ার ঠোঁটে ঠোঁটে।
শান্তির পৃথিবী
ফারুক আহম্মেদ জীবন
কোনো খুনাখুনি রক্তারক্তি
পরিবার, সমাজ, এমনকি বিশ্বে
কোথাও কোন শান্তি বয়ে আনতে পারেনা
বরং অশান্তি বাড়তে বাড়তে
তা- একসময় তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে
জটিল আকার ধারণ করে
সবকিছু ধংস করতে ঘটে মহা বিস্ফোরণ,
যে বিস্ফোরণে অগণিত মানুষের
হয় আত্মঘাতী মরণ।
তাই যুদ্ধে জড়িত যতো দেশ
সেই দেশের মানুষ গুলোকে বলছি
অনেক...অনেক হয়েছে এবার ক্ষান্ত দাও,
বলো..যুদ্ধ বিগ্রহ ধংস লীলা চালায়
সব অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে
অবুঝ নিষ্পাপ দুগ্ধ শিশু অবলা নারী মেরে
কি সুখ তোমরা পাও?
আর যুদ্ধ দেখতে চাইনে
একটা শান্তির পৃথিবী দেখতে চাই
তোমাদের ক্রোধ রোষানলে বলি হতে হয়েছে
ফিলিস্তিনের কবি হেবা কামালকে
হেবা কামালের মত আর কোন কবির
অকালমৃত্যু দেখতে চাইনে...
দেখতে চাইনে কোন অবুঝ শিশুর মৃত্যু
কোন শিশু যেনো আর মা-বাবা হারা না হয়
সব মনুষ্য বিবেক জাগ্রত করো
অজস্র শিশুর পক্ষ থেকে করছি অনুরোধ,
থামাও...থামাও সব ক্রোধ।
রাজা এবং চাষি
নূরমোহাম্মদ
একদা এক প্রাত বেলায় ভ্রমণে গিয়ে রাজা
নিজের চোখে দেখতে পেলেন কেমন আছেন প্রজা।
লাঙ্গল কাঁধে খুব প্রাত্যুষে বেরিয়ে পরেন চাষি
ফলাবে ফসল মৌসুমি ধান, তাইতো বেজায় খুশি।
মনের সুখে লাঙ্গল জুড়ে গায় সে মধুর গান
গানের সুরে মন ভুলে যায় শান্ত রাজার প্রান।
ভাবছেন রাজা মনে মনে চাষার ভীষণ সুখ
শত কষ্ট লাঘব করে নেই কোন তার দুখ।
শান্ত চাষার বউ যে হল খুবেই আলা ভোলা
আলের উপর খেতে দিচ্ছে পান্থা ভাতের থালা।
মুচকি হেসে বলেন চাষা কাজ শেষে তোমায়
বিকেল বেলায় ঘুড়তে যাবো দিব তোমায় সময়।
লাজুক বউয়ে বলছে ডেকে নইতো আমি পর
তার খুশিতে উছলে পরে তিস্তা নদীর চর।
একটু পরে ডাকেন রাজা ওরে কৃষক ভাই
এ দেশের কে রাজা,চিনেন নাকি মশাই।
বলেন চাষি চাষ করে খাই ক্ষেতে ফলাই ধান
কেবা রাজা কেবা প্রজা নেই প্রয়োজন।
অবাক চোখে তাকান রাজা বলছো তুমি কি যে
প্রজারা তার রাজা নিয়ে কিছুই নাহি ভাবে।
বিস্ময়ে প্রশ্ন সুধায় নিজেই রাজা দুঃখে
তারই দেশের প্রজারা বেশ আছেন মহা সুখে।