যুগের ছড়া


 


❑ শনিবার  ❑ ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইংরেজি  ❑ কার্তিক  ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ❑

হেমন্ত 

মোঃ দিদারুল ইসলাম 


হিম হিম হেমন্ত 

গরম আজ ক্লান্ত

পরিবেশও শান্ত

কাব‍্যের হেমন্ত।


দূর্বাঘাসে শিশির 

অতিথি পাখির ভীড়,

ডাকে কিচিরমিচির 

ছেড়ে ঐ আপন নীড়।


নানা ফুলের বাহার

সুবাসিত চারিধার,

প্রকৃতি মুগ্ধতার 

আনন্দের আধার।


কৃষকেরা গেয়ে গান

ফুর্তিতে কাটে ধান,

গাঁ জুড়ে পিঠার ঘ্রাণ 

কিষাণী চিবায় পান।



আমার বিদ্যালয়

সৈয়দুল ইসলাম


গ্রাম থেকে ওই একটু দূরে

আমার বিদ্যালয়,

আঁকাবাঁকা মেঠো পথে

যেতে লাগে ভয়।


পড়ালেখায় মন বসেনা

ভয়ের সাথে বাস,

নিজের পায়ে কুড়াল মেরে

ডাকছি সর্বনাশ।


কালু, মালু পাড়ার ছেলে

পড়ালেখায় ভালো,

আমার বোকার জীবন থেকে

নিভে যাচ্ছে আলো।


আমি আজই পণ করলাম যে

বিদ্যালয়ে যাবো,

বই আর কলম হাতে তুলে

জীবনটা সাজাবো।


ছোট্ট খুকি

ইলিয়াছ হোসেন


ছোট্ট খুকি বলে মাকে

আর পড়বো কত?

খেলতে আমায় ডাকছে দেখো

প্রজাপতি শত।


ভোরের সূর্য বলছে আমায়

আর থেকো না ঘরে,

মেঘের সাথে লুকোচুরি

দেখো হৃদয় ভরে।


সবুজ ঘাসের শুভ্র শিশির

আমায় কাছে ডাকছে,

বিলের ঝিলের পদ্ম শাপলা

দেখতে দারুণ লাগছে।


জোনাকিরা বলছে যেতে

গোলাপ ফুলের বনে,

সেথায় আমি করবো খেলা

ফুলপরীদের সনে।


ছোট্ট খুকিকে বলে মা

আরও একটু পড়ো,

লেখাপড়া শিখে তুমি

সুন্দর জীবন গড়ো।



কানাবগির ছাঁ

গোলাপ মাহমুদ সৌরভ 


পাড়াতলীর নতুন পাড়া 

ছোট্ট একটা গাঁ,

বাঁশ বাগানে বাসা বুনেছে 

কানাবগির ছাঁ। 


পাড়াতলীর পশ্চিম বিলে 

কানাবগির বাস,

একটা-দুইটা পুঁটি মাছ 

ধরে ধরে খাস। 


খুঁটির উপর বসে বগি 

চুপটি করে থাকে, 

পানির নিচে পুঁটি মাছ 

চলে বাঁকে বাঁকে। 


গায়ের রংটা সাদা তার

লম্বা দুইটি পা,

লম্বা ঠোঁটে শিকার ধরে 

গাপুসগুপুস খা।




এমন কথা

মজনু মিয়া 


কুটুম ডাকলে ইষ্টি আসে

কুটুম ডাকলে বৃষ্টি আসে

ময়মুরুব্বি বলে,

রাতের বেলা নিম পখ ডাকে

অসুখ বিসুখ কালে!


কাক ডাকলে হয় মৃত্যু খবর

বিড়াল সামনে যাত্রা দুস্তর 

মা চাষিদের কথা,

হাঁচি দিলে অমঙ্গল হয়

রটায় যথাতথা। 


এমন ভাবনা কভু ঠিক না 

এ সব কিন্তু কোনো দিক না

এটাই সঠিক বলি, 

যা হবার তা হবে জানবেন

মালিক মতে চলি।




হেমন্ত

মাহবুব-এ-খোদা


শরৎ শেষে হেমন্তকাল 

ধরায় করে রাজ,

ঘরে ঘরে পিঠাপুলির 

চলে নানান সাজ।

প্রভাতকালে দূর্বাঘাসে

শিশির ধোয়ায় পা, 

সূর্যিমামা তাপ ছড়িয়ে 

উষ্ণ করে গা।

মাঠের বুকে পাকা ধানে 

চাষির বাড়ে কাজ,

গৃহবধূ ব্যস্ত থাকে 

সকাল-দুপুর-সাঁঝ।

হাসনাহেনা, শিউলি ফুলে 

ছড়িয়ে পড়ে ঘ্রাণ, 

হেমন্তের এই রূপমাধুরী 

শীতল করে প্রাণ।



বিকেল হলে

সাঈদুর রহমান লিটন


বিকেল হলে ঘুরি

বিকেল হলে খেলি,

বিকেল হলে দূরাকাশে

বদ্ধ ডানা মেলি।


বিকেল হলে হাঁটি

গল্প ফাঁটাফাঁটি,

বিকেল হলে নদীর তীড়ে

খেলি কাদামাটি।


বিকেল হলে ছুটি

বিকেল হলে ফুঁটি

সন্ধ্যে হলে আঁকার খাতায়

করি কাটিকুটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

তানকা/স্বপন শর্মা