শাহীন খানের একক ছড়া







শাহীন খানের তিনটে ছড়া

১.মুখর পরিবেশ

পাকা ধানে মুখর পরিবেশ
বাংলা মায়ের নেই কো খুশির শেষ।

কৃষক হাসে বধূ হাসে হাসে নানা নানি
এক নিমেষে যায় কেটে যায় যত্ত আছে গ্লানি ।

রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি বটের তলে বসে
নতুন দিনের স্বপ্ন আশার  অংক সবাই কষে।

মন হয়ে যায় কবি কবি গায় যে পাখি গান
চারদিকেতে  ছড়িয়ে পড়ে আনন্দেরই বান।

২.আমি গানের পাখি

আমি গানের
পাখি গান শুনিয়ে থাকি
কল্পনাতে চোখের তারায়
সবুজ ছবি আঁকি।

আমি গানের পাখি
করি ডাকাডাকি
বৃষ্টিজলে নিজকে আমি
করেই মাখামাখি।

আমি গানের পাখি 
মুক্ত চারিদ্বার
আপন মনে ঘুরিফিরি
ধারি না কো ধার।

আমি গানের পাখি
ডালে বসবাস
কক্ষণো তোমার মতো
করি না হুতাশ।

বৃষ্টি মানে

বৃষ্টি মানে টুপটুপাটুপ রিনিকঝিনিক সুর

এক নিমেষে মনটা আমার হারায় অচিনপুর।
ডাহুক পাখি ঘুরে বেড়ায় বেতস বনে হায়
পানকৌড়ি সব ডুব সাঁতারে মাছ ধরিতে যায়।
পথঘাট মাঠ হাটবাজারে কাদায় থাকে ভরা
ঘরে বসে কবি লেখেন গল্পগাঁথা ছড়া!

বৃষ্টি মানে সৃষ্টি অপার সজীব করে সব
পুকুর জুড়ে হাঁসরা করে দারুণ কলরব
ব্যাঙবাবাজী গাইতে থাকে হেঁড়ে গলায় গান
শুকনো খালে এবং ডোবায় আসে জলের বান।
ছাতা ছাড়া যায় না চলা মোটেও জনপদ
চারদিকেতে সবুজ সবুজ বেড়ে যায় সম্পদ।
।।।।।।।।।।।।
বানারীপাড়া
বরিশাল। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

তানকা/স্বপন শর্মা