শিশির আজম-এর একক কবিতা
শিশির আজম-এর একক কবিতা
আমি কীরকম লোক
আমার একটা বাড়ি দরকারকিন্তুবাড়ি কিনবার মতোটাকাবাড়ি বানাবার মতোসময়বাড়ি ভাড়া করবার মতোরুচিআমার নেইনাস্তিকআপনার বেহেশতের প্রতি আমার লোভ নেই জনাবকোন বেহেশত আমি কিনতেও চাই নাআমার চোখ আমারআমার কলম আমারআমি ফেরেশতাও না শয়তানও নাহ্যাআমি আমার রক্তের কথা শুনিআপনি কি পারবেন রোমান গথিক স্থাপত্যে দুর্দমনীয় মুগ্ধতা ভুলেআমার রক্তের কাছে পৌছতেআমার রক্তের সিম্ফনি আপনি কখনও শুনতে পেয়েছেনআমার রক্ত আমারআমার কোন বেহেশতের দরকার নেইসুখতোমার অতিসাধারন বিষয়াশয় আর কাজের ভিতরতোমাকে সুখীই ভাবিসুখে থাকোহয়তো দেখতে পাওনি টেবিলে খবরের কাগজের অবিমৃষ্যকারিতাতোমার ব্রাজিলিয়ান কফি তোমার রুশমার্কিনের গোয়েন্দাযুদ্ধসাম্যবাদী আত্মার শালবনে আমরা কতোবার ঘুরতে গেছি যার যারপছন্দের পোশাকেজানো না সেখানে গ্রাম এখন গ্রাম নেই শহর শহর নেই শহর গ্রামটগবগ ফুটছেজলের ভিতর হাঁটি গোগলের জলের পাশাপাশিবেঁচে থাকার জন্য তারা বড্ড গোলমাল করছে এমন কি মৃতদের সঙ্গেওবিপ্লবীদের গ্রান্ড ক্যানিয়ন থেকে মানবসূত্র চুরি করেপ্রত্যেকে চেষ্টা করছে যার যার খিদে বাড়িয়ে নিতেযদিও বর্তমান মানুষ আদিম মানুষের মতোই সামুদ্রিক ছোট্ট শামুকেরখোলের মধ্যে নিজেকে সঁপে দিতে স্বস্তিবোধ করেআমরা জেনে গেছি রাস্তাদের নির্দিষ্ট রেখা নেই ইন্দ্রিয়ময়তা আছেবিদ্যালয় নেই চিন্তাপ্রণালী নেই জুতোর পাহাড় আছেফুলের খামখেয়ালীপনা আর গর্ভ্যচ্যূতি দেখতে পাচ্ছিস্কুলবালিকাদের সাতডিঙা মুখচ্ছবিতেশতশত গাজাখোর গাজায় শিশুহত্যার প্রতিবাদে মিছিলে নেমেছেহয়তো তুমি সুখী তোমাকে সুখীই ভাবিপ্রস্তরীভূত বাক্যবিন্যাসে কেউ একজন জীবনানন্দ বুঝিয়ে কেড়ে নিয়েছেবদরক্তমাখা তোমার চুলের কাঁটা তোমার অক্ষশক্তির আদিম একাগ্রতাএখন তুমি মুক্ত তোমাকে অনুসরন করা সূর্যকেন্দ্রিক ছায়ানিসর্গ থেকেদুঃস্বপ্নগুলি বেঞ্চের নিচে ঠেলে দিয়ে আমরা মোড়ের দোকানটাকে পাহারা দিইযেন ঈশ্বর আমাদের দেখেননি চেনেন না কশ্মিনকালেওবাদিকে বোটানিকাল গার্ডেনের গেটে উনি দাঁড় করিয়েছেনএক নাস্তিককেশান্তজলের মতো রাস্তাসার্কাস খেলার দর্শকযদি বল বাংলাদেশ একটা দেশ তাহলে দেশযদি বল প্রাইভেট কোম্পানি তাহলে তাইঅর্থাৎ গান্ধী না বুদ্ধ না তুমি হয়ে গেলে মন্ত্রীর লেজে ঝুলে থাকা চামচিকাএ এক ধন্দ মানে প্রেমিকা আর রাষ্ট্র দুটোর জন্যই তোমার কনডম দরকার হয়একদিকে তুমি আরেকদিকে জাতিসংঘস্টক একচেঞ্জ সুন্দরী প্রতিযোগিতা কালো ব্রায়ান লারার ৪০০তুমি না ডান না বামনা পুব না পশ্চিমতুমি না শিক্ষক না চোরাকারবারীআমি প্রতিদিন দেখি আমার নিজের বোনকেআজ অনেকক্ষণ তাকিয়েছি এক মাংসহীন বেশ্যার দিকেবন্ধ গ্যারেজের সামনে টিমটিমে সোডিয়ামেহয়তো ঐ বেশ্যার এক ভাই আছেসেও ধর্ষীত সুঠাম শক্তিমান অনমনীয় মুনাফার কাছেপ্রেম নেই বিবাহ আছে প্রসূতিসদন আছেতোমাদের মধ্যে যে বদরাগী সেই কেবল চেঁচায় খিস্তি করেপাবলিক প্লেসে থুতুকি জীবনানন্দ কি কফিহাউসঅবসরে তোমরা অন্তত পাছা চুল্কোনোর মতো সহজ কাজটাকরতে পারতেত্রিভূজএকথা তুমি বলতেই পারো যে আমার ভালোবাসায় খুঁত ছিলহ্যাশিশুর মতো আমি আঁকতে চেয়েছিলাম একটা ত্রিভূজযার থাকবে তিনটি কোণআর এর জন্য দরকার হবে তিনটি বাহুআচ্ছা তিনটি বাহু মিলিয়ে নিতে দুটো শ্বাসকখনদাঁড়াতে পারে একই বৃষ্টির নিচে