যুগের ছড়া


 

যুগের ছড়া

হেমন্ত

মাহবুব - এ- খোদা


ধরার বুকে হেমন্তকাল 

শিশির দূর্বাঘাসে,

সোনাঝরা সূর্যকিরণ

খুশিতে মন হাসে।

আঙিনাাতে ধানের আঁটি 

আনন্দে মন ভরে,

পিঠাপুলি সুবাস ছড়ায়

বাংলার প্রতি ঘরে। 

উষ্ণতাকে বিদায় দিয়ে 

চাদর ওঠে গায়ে,

খেজুর রসে টেনে আনে

শহর ছেড়ে গাঁয়ে। 


 

প্রতিবাদী মেয়ে

সাইদুল ইসলাম সাইদ 


লেখালেখি করে যে বেশ

স্বাধীনতা নিয়ে,

ছড়া গল্পে প্রকাশ করে

পত্রিকাতে দিয়ে।


যার কথা আজ বলব আমি

নাদিয়া রিফাত, 

সত্যি কথায় ভয় করে না

অভদ্রতা হাত।


ভয় করে না দামি কাউকে 

বুক ফুলিয়ে চলে,

অনুচিতের বিপক্ষেতে 

উচিত কথা বলে।


অন্যায় দেখে যদি কিছুই

সাধ্য নাহি থাকে,

বিবেকটাকে গলা টিপে 

নিজের ঘরে রাখে।



নতুন ধানের পিঠাপুলি

কাজী আব্দুল্লা হিল আল কাফী 


সোনালী ফসল ঘরে ঘরে

কৃষকের হাসি মুখে,

নতুন ধানের বেশ আনন্দ

ঘর যে ভরায় সুখে।

ধান মাড়াই শেষে কৃষক

পিঠার ধান রাখে,

নতুন ধানের নানানরকম

পিঠা বানিয়ে থাকে। 

আটা তেল চিনির মিঠাই

দিয়ে বানান পিঠা,

স্বাদে ভরায় পিঠাপুলির

সাথে দারুণ মিঠা।

পিঠাপুলি খেয়ে সকলে

খুশিতে থাকে বেশ,

নবান্ন উৎসবে হাসি খুশি

পিঠার উৎসব শেষ। 


বেদনার সুর

-বাপী নাগ 

ঢাকের কাঠির এই মিষ্টি দেশ

নুতন আশায় বাঁধি বুক। 

দুর্গাপূজা যে এবার হলো শেষ 

সবার ইচ্ছে পূরণ হোক।


পূজোর শেষ আজ চারিপাশে 

ভাসান হবে যে ফাটাফাটি। 

মা বলে,এবার বাড়ি ফিরে চলি

বিজয়া হবে যে জমজমাটি।


ঢাকের মিষ্টি আওয়াজ ছিল 

পুজোর ক-দিন সারাক্ষণ। 

বিদায়ের শেষ বেলায় মনে হয় 

মা যেন থাকে কিছুক্ষণ।


আজ যে মন্ডপে সিঁদুর খেলায় 

মাটি লালে রাঙিয়ে যান। 

আসছে বছর আবার পুজো হবে 

সবাই তোমায় দেখতে পারে।


পূজোয় সবাই কে ভালবাসা 

বেদনার মুরে দুরে থাক। 

জীবনে ভালো মনে কিছু আশা 

সুখের স্মৃতি ফিরে দেখা।


কোলা ব‍্যাঙ

মোঃ দিদারুল ইসলাম 


ডোবার ধারে কোলা ব‍্যাঙ ঐ

নাচে হেলে-দুলে,

আনন্দেতে ঘ‍্যাঙর ঘ‍্যাঙর

ডাক‍ের তুফান তুলে।


পোকা-মাকড়, মলা-ঢেলা

খেয়ে সাবাড় করে,

দারকিনা আর চুনোপুঁটি 

তাহার ভয়ে মরে।


চলাফেরায় মহারাজা

লম্ফ মারে জোরে,

গায়ের ধাক্কা খেয়ে মশা

ছিটকে দূরে পড়ে।


একদিন হঠাৎ কোলা ব‍্যাঙটি

ঝাপসা দেখে চোখে,

শিকার ধরতে আহা নিজেই 

সাপের মুখে পড়ে।



শরৎ স্মৃতির অমরতা 

     রফিকুল ইসলাম


শরৎ গেল হেমন্ত এলো 

ঋতুচক্রের নিমন্ত্রণে 

ফিরেছে আশ্বিন অগচরে

বিরহ বিবাগী মনে। 

শিশির ভেঁজা বিদায় বাণী

বাঁজে আমার কানে

এজনমে হলো না দেখা 

তোমার আমার সনে। 

শূন্য কুঠির পূর্ণ আলোয়

ফুল পাখিদের গানে

কোন বেদনায় কাঁদে এ মন

মনই কেবল জানে। 

যাইনি কেন এতদিনে 

কাশফুলের ঐ বনে 

তাইকি বুঝি ঝরলো কাশ

আকুল  অভিমানে...


বিজয় নিশান 

শারমিন নাহার ঝর্ণা

আল আকসা মসজিদ হলো

সর্ব প্রথম কাবা,

কেন ইসরাইলরা দিচ্ছে এমন

হিংস্র পশুর থাবা।


জাগো মুসলিম তোমরা সবে

বাঁচাও কচি প্রাণ,

মহান প্রভু সাহায্য কারী

পাবে যে পরিত্রাণ। 


পবিত্র ভূমি রক্তে রাঙালো 

হৃদয় তাদের পাষাণ,

সকল মুসলিম একত্র হয়ে 

আনো বিজয় নিশান।



কাশফুল

কনক কুমার প্রামানিক


কাশফুলের মেলা বসেছে

নদীর তীর জুড়ে,

শোভা বাড়ায় কাশফুলেরা

হৃদয় যায় ভরে।


শরৎকালে ফোটে সে ফুল

শিরটা উচু করে,

সুখের ছোঁয়া দেয় যে প্রাণে

হাওয়ার আদরে।


সাদা রঙের পরশে তার

শুভ্র হয় ধরণী,

কাশ বনের নদীর মাঝে

ছুটে চলে তরণী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

তানকা/স্বপন শর্মা